ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫ , ১৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আসামি শনাক্ত এআই প্রযুক্তিতে

​গুরুত্বপূর্ণ নথি ধ্বংস করতেই বিয়ামে পরিকল্পিত অগ্নিকাণ্ড : পিবিআই

স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় : ২৮-০৭-২০২৫ ০৪:৫৮:৪৬ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ২৮-০৭-২০২৫ ০৪:৫৮:৪৬ অপরাহ্ন
​গুরুত্বপূর্ণ নথি ধ্বংস করতেই বিয়ামে পরিকল্পিত অগ্নিকাণ্ড : পিবিআই ​ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর ইস্কাটনে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (বিয়াম) ফাউন্ডেশনে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডটি এসি বিস্ফোরণের দুর্ঘটনা ছিল না, বরং এটি ছিল পূর্বপরিকল্পিত অগ্নিসংযোগ। পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র ধ্বংসের চেষ্টায় এ ঘটনায় প্রাণ হারান দুজন কর্মচারী।

সোমবার (২৮ জুলাই) কল্যাণপুরে পিবিআই উত্তর কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) বিশেষ পুলিশ সুপার আব্দুর রহমান।

তদন্তে উঠে এসেছে, বিয়ামের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এসএম জাহিদুল ইসলাম ফাউন্ডেশনের সমবায় সমিতির গুরুত্বপূর্ণ নথি— ব্যাংক হিসাব, চেক বই ও জমির দলিল ধ্বংস করতে আগুন লাগানোর পরিকল্পনা করেন। আগুন লাগানোর কাজে তিনি মো. আশরাফুল ইসলাম নামের এক পূর্বপরিচিতকে ব্যবহার করেন। আশরাফুলের সহায়তায় সিসিটিভি ক্যামেরা বন্ধ করে অফিস সহায়ক আব্দুল মালেক ও চালক মো. ফারুককে দিয়ে আগুন লাগানোর কাজ করানো হয়।

পরিকল্পনা অনুযায়ী তাদের মোট ১০-১২ লাখ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। ঘটনার পর আশরাফুলকে দেওয়া হয় ৬-৭ লাখ টাকা।

গত ২৭ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে বিয়াম ভবনের ৫০৪ নম্বর কক্ষে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। পেট্রোল ঢেলে কাগজে আগুন ধরানোর পর মুহূর্তেই তা ভয়াবহ রূপ নেয় এবং বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন আব্দুল মালেক। গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ফারুক।

তদন্তে ব্যবহার করা হয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক প্রযুক্তি (এআই)। সিসিটিভি ফুটেজ ও মোবাইল ডেটা বিশ্লেষণ করে আশরাফুলকে কুড়িগ্রাম থেকে এবং জাহিদুলকে ঢাকার বসুন্ধরা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুজনেই আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

ঘটনার পর সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক অবসরপ্রাপ্ত সচিব মো. মশিউর রহমান হাতিরঝিল থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে মামলাটি পিবিআইয়ের স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড অপারেশন ইউনিটের (এসআইঅ্যান্ডও) কাছে হস্তান্তর করা হয়।

পিবিআই জানায়, এই ঘটনার নেপথ্যে আর কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত চলমান রয়েছে এবং প্রয়োজনে আরও ব্যক্তিকে আইনের আওতায় আনা হবে।

বাংলাস্কুপ/প্রতিবেদক/এইচএইচ/এসকে


প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স


এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ